বইটির বিবরণ
১৮৫৭ সাল। সমগ্র ভারতবর্ষ উত্তাল হয়ে ওঠে ব্রিটিশ সামাজ্যবাদের বিরুদ্ধে। আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায় ভারতীয় সিপাহীরা। দিল্লিতে গিয়ে সিপাহীরা বাহাদুর শাহকে ভারতবর্ষের সম্রাট ঘােষণা করে। কিন্তু যুদ্ধে পতন ঘটে দিল্লির বন্দী হন বাহাদুর শাহ ও তাঁর পরিবার । ব্রিটিশ গােয়েন্দা বিভাগের সদস্য ক্যাপটেন হডসন একটা এনফিল্ড রাইফেল দিয়ে বাহাদুর শাহকে। সপরিবারে হত্যা করে। প্রায় শ দেড়েক বছর পরের কথা। ভাগ্নি ঝিনুককে সঙ্গে নিয়ে খ্যাতিমান চিত্রকর নয়ন চৌধরী লন্ডন থেকে দেশে ফিরছিলেন। পাশেই ব্রিটিশ যাত্রী জন হডসন । লােকটি গভীর মনােযােগে বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলের মানচিত্র দেখছিলেন। তিনি নাকি সিলেটে যাচ্ছেন চা বাগানে বেড়াতে। এয়ারপাের্টে নেমে ঝিনুক অবাক হয়ে দেখে চেলাে নামের একটা বিশাল বাদ্যযন্ত্রের বাক্স নিয়ে হডসন এয়ারপাের্ট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। কাদের আমন্ত্রণে চেলাে বাজাতে বাংলাদেশে এসেছেন হডসন? তাহলে চা বাগানে বেড়াতে যাওয়ার কথাটা কি মিথ্যে? ঝিনকের অনুসন্ধানী প্রশ্ন এক সময় নয়নমামাকেও কৌতুহলী করে তােলে। সিপাহী বিদ্রোহ, দিল্লির পতন, বাহাদুর শাহকে হত্যা, এনফিল্ড রাইফেল, ক্যাপটেন স্যামুয়েল হডসন, ব্রিটিশ যাত্রী হডসন, চেলাের বাক্স- সব মিলিয়ে বিষয়টি জটিল হয়ে ওঠে। ঝিনুককে সাথে নিয়ে রহস্যের মূলে পৌছাতে মাঠে নামেন নয়নমামা।