বইটির বিবরণ
স্কুল ফাইনালের পর কীভাবে সময় কাটাবে এই নিয়ে গুবলু, সুমন, মনােজ আর বাপ্পি যখন চিন্তিত, তখনই ঘটল অঘটন। গ্রামে বেড়াতে এসে বাপ্পির মামাতাে বােন রুমকির সােনার পায়েল চুরি হয়ে গেছে। পায়েল উদ্ধারের দায়িত্ব পড়ল চার বন্ধুর ওপর। পায়েল উদ্ধার করতে গিয়ে তারা যখন কোনাে কূল-কিনারা খুঁজে পাচ্ছিল না, ঠিক তখনই গ্রামে একের পর এক খড়ের গাদা পুড়ে যেতে লাগল। গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ল। বাপ্পির মামা রুমকিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাওয়ার উদ্যোগ নিল। নিরুপায় গুবলুরা পায়েল রহস্য বাদ দিয়ে তারা খড়ের গাদা পােড়ার রহস্য উদঘাটনে ঝাপিয়ে পড়ল। তারপর তদন্ত করতে গিয়ে টু-ইন-ওয়ানের মতাে দুটি ঘটনার মধ্যেই গুবলু খুঁজে পেল যােগসূত্র। কিন্তু খড়ের গাদার সঙ্গে পায়েল চুরির কী সম্পর্ক থাকতে পারে? গুবলু বাহিনী কি রুমকির পায়েল উদ্ধার করতে পেরেছিল? পেরেছিল কি খড়ের গাদা আগুনে পােড়ার রহস্য উদঘাটন করতে? সব প্রশ্নের উত্তরই মিলে যাবে সুলেখক অরুণ কুমার বিশ্বাসের কিশাের উপন্যাস গুবলু গােয়েন্দার পায়েল রহস্য-এর মধ্যে দিয়ে।
লেখকের পরিচিতি
অরুণ কুমার বিশ্বাস এক্স-নটরডেমিয়ান, ইংরেজি সাহিত্যে এমএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আন্তর্জাতিক মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স করেন লন্ডনে। লেখালেখির শুরুটা তার কলেজকাল থেকেই। তিনি অসম্ভব প্রাণোচ্ছল একজন মানুষ। ঘুরতে পছন্দ করেন। নতুন দেশ নতুন মানুষ তার আগ্রহের বিষয়। বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে শিশু-কিশোরদের জন্য লিখছেন ছড়া, কবিতা, অ্যাডভেঞ্চার, উপন্যাস, ভুতুড়ে ও গোয়েন্দাগল্প। পেশাগত কাজের ফাঁকে (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) তিনি সমসাময়িক বিষয় নিয়ে নিয়মিত কলাম লিখছেন। তিনি আড্ডার আমেজে জম্পেশ গল্পও বলেন। একসময় বিতর্ক করতেন। জীবন সম্পর্কে তিনি রীতিমতো কৌতুহলী। যাপিত জীবনের অলিগলি রাজপথ- সবখানে তার অবাধ বিচরণ। বাস্তবে না হোক, কল্পনায় তো বটেই। রোমাঞ্চকর লেখার বাইরেও তিনি ছোটোগল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস লেখেন। তাঁর জন্ম গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাধীন জহরের কান্দি গ্রামে। স্ত্রী ডা. তপতী মণ্ডল। দুই ছেলে অনিকেত ও অগ্নিশ। তারাও লেখে। পুরো লেখক পরিবার।