বইটির বিবরণ
ছড়ার সামগ্রিক মাধুর্যের সঙ্গে যুক্ত করে ভাষাজিজ্ঞাসু পাঠককে বাংলা ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ ও চর্চায় উৎসুক ও আগ্রহী করে তুলবে ছড়ায় ছড়ায় শুদ্ধ ভাষা গ্রন্থটি। লেখক-কবি-ছড়াকার সুবলকুমার বণিক তাঁর এই গ্রন্থে সাধারণ ভাষাবিজ্ঞানের মূলসূত্রগুলো ব্যাখ্যা করে তার আলোকে শুদ্ধ বাংলা ভাষা চর্চা ও প্রয়োগের বিশ্লেষণী দিগ্দর্শনের দিগন্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। লেখক বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চার খুঁটিনাটি বিষয়ে নানা ভ্রান্ত প্রয়োগ শনাক্ত করে শুদ্ধ প্রয়োগরীতি এমনভাবে বর্ণনা করেছেন যেগুলো ধরিয়ে না দিলে সচরাচর চোখে পড়বে না যে ব্যাকরণের নিয়মে তা অশুদ্ধ। প্রতিটি ছড়ার শেষে প্রসঙ্গক্রমে ব্যাকরণ সম্পর্কে খুবই সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলেও গ্রন্থটি মোটেই ব্যাকরণ-বিবৃত নয়, বরং শুদ্ধ বাংলা ভাষা-বিধি অনুসরণ করেই শুদ্ধতার বৈশিষ্ট্য ও স্বরূপ তুলে ধরা হয়েছে তাতে। এই গ্রন্থটি মূলত কিশোর-কিশোরীদের জন্য লেখা হলেও সব শ্রেণির পাঠকই ছড়ার ছন্দে দোল খেতে খেতে শুদ্ধ ভাষার নিয়মকানুন শিখতে পারবেন। উপস্থাপনা এবং শিখন-কৌশলেও রয়েছে বৈচিত্র্য ও চমক। আর এ কারণেই গ্রন্থটি প্রচলিত অন্যসব গ্রন্থ থেকে ভিন্ন প্রকৃতির। সংক্ষিপ্ত পরিসরে সবার জন্যই একটি সর্বাঙ্গীণ পাঠ্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনার দাবিদার বইটি।
লেখকের পরিচিতি
লেখক ও কবি সুবলকুমার বণিক ১৯৫২ সালে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। সুবলকুমার বণিক ছিলেন শিশুকিশোর মাসিক সাতরং-এর নির্বাহী সম্পাদক। তাঁর লেখা ও চিন্তার জগৎ ছিল শিশুদের ঘিরেই। তাই শিশুদের জন্যই লিখেছেন সাদামেঘ কালোমেঘ, নিঝুমবনের সাদাহাতি, টিনের সেপাই, জাদুর তুলি, চাঁদের জামা প্রভৃতি বই। অনূদিত গল্পের বই ভিনদেশি গল্প।
বাংলা ভাষা, বানান, প্রয়োগরীতি এবং শুদ্ধ্যশুদ্ধিই ছিল তাঁর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। সেই আগ্রহ থেকেই ছড়ায় ছড়ায় শুদ্ধ ভাষা বইটি রচনা করেন। ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল তিনি পরলোক গমন করেন।