বইটির বিবরণ
একদিন একটি প্রতিযোগিতার খবর চোখে পড়ে, রহস্য গল্প পাঠাতে বলা হয়েছে। একজন লেখক বন্ধু আমাকে অংশ নিতে বলেন। আমার 'অরহস্য' গল্প পড়ে তাঁর ধারণা হয়েছে যে আমার সম্ভাবনা আছে। কিন্তু রহস্য গল্প, মানে, ভূতের গল্প তো আমি একদমই জানি না। তার থেকেও বড়ো সত্যি হলো, নিজেকেই আমি একজন রহস্যমানব মনে করি। তো আমি রহস্য গল্পের উপাদান হতে পারি বড়োজোর, কিন্তু লেখক কী করে? এদিকে যতই ডেডলাইন এগিয়ে এলো, কেন জানি মনে হতে লাগল, কিছু একটা মিস হয়ে যাচ্ছে। অবশেষে অন্তিম দিনে লিখে ফেলি একটা কিছু, নাম দিই 'বার্বি ডল'। এটি রহস্য গল্প কি না নিশ্চিত ছিলাম না, তবে এটিই এনে দিলো প্রথম পুরস্কারের সম্মান, সুদূর কলকাতা থেকে। এরপর আরও অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি, রহস্য পত্রিকায় ছাপা হয়েছে গল্প। সেসব গল্প নিয়েই এই সংকলন। যদিও এখনো আমি নিশ্চিত নই, এগুলো সত্যিই রহস্য গল্প কি না। আবার এই নিশ্চয়তাও আমার মধ্যে নেই, রহস্য গল্প ছাড়া সত্যিকারের কোনো গল্প আছে কি না পৃথিবীতে। কারণ সেই ছোটো থেকেই আমার মনে হয়, জগৎ রহস্যময় আর মানুষ হচ্ছে সব থেকে রহস্যময় প্রাণী
লেখকের পরিচিতি
জন্ম ফরিদপুরে। পৈতৃক নিবাস শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায়, তবে মাদারীপুর জেলার শিবচরের নানাবাড়িতেই শৈশবের আনন্দমুখর সময় বেশি কেটেছে। এসএসসি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এইচএসসি ঢাকা কলেজ, বিবিএ ও এমবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সম্পন্ন করেছেন। এমবিএ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হওয়ার আগেই একটি বেসরকারি ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদান। বর্তমানে ওই ব্যাংকেরই একটি শাখার প্রধান হিসেবে কর্মরত। বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে আর্থিক বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা ও পেইজে বেশ কিছু ছোটোগল্প প্রকাশিত হয়েছে। বাবা জাজিরা মোহর আলী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। তাঁর ব্যক্তিগত ছোটো লাইব্রেরি থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়তে পড়তেই শৈশবে সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। কৈশোরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ সেই সাহিত্যপ্রেমকে আরও উসকে দেয়।
প্রকাশিত গ্রন্থ উন্মেষ গ্রন্থমালা, আবিষ্কার প্রকাশনী, কলকাতা, ২০২৪; স্বয়ংক্রিয় শ্রমিক, বিদ্যা প্রকাশ, ঢাকা, ২০২৪; তারে বাঁধা স্বর, গুরুচণ্ডা৯, কলকাতা, ২০২৫।