বইটির বিবরণ
বাপ-মা হারা বিজু রাখাল মল্লিক বাবুদের গোরু চরাতে চরাতে একদিন একটা বাচ্চা শাদা ঘোড়া দেখতে পেয়ে তাকে নিজের কুঁড়েঘরে নিয়ে এলো। তার নাম রাখল শাদাপাল। মেয়ের মুখে ঘোড়াটার কথা শুনে রাজা বিজুকে ডেকে বললেন, 'তোর শুনেছি একটা ঘোড়া আছে? কতয় বেচবি?' 'ও আমি বেচব না, রাজাবাবু।' 'কেন রে, তোর ঘোড়া সোনার ডিম পাড়ে নাকি? কাল ভোরে ঘোড়াটা এখানে দিয়ে খাজাঞ্চির কাছ থেকে পঞ্চাশটা টাকা নিয়ে যাস।' ভোর হওয়ার অনেক আগে বিজু তার ঘোড়া নিয়ে গ্রাম ছেড়ে পালাল। কিছুটা যাওয়ার পরই হুংকার শুনে পেছনে চেয়ে দেখে, বল্লমহাতে রাজবাড়ির পেয়াদা রা তাদের ধরতে আসছে। কাছে এসে তারা বিজুর দু-হাত বেঁধে শাদাপালের সারা গা শক্ত দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে চলল মল্লিকরাজের কাছে। বিজু ভোরবেলার আকাশ-বাতাসকে সাক্ষী রেখে প্রতিজ্ঞা করল, তার উঠানের সুপারিগাছে ঘোলো বলয় পূর্ণ হওয়ার আগেই সে রাজাকে পথের ধুলোয় শোয়াবে। বিজু কি পারবে শাদাপালকে উদ্ধার করতে? পারবে কি মল্লিকরাজের কাছ থেকে ঘোড়া আর নিজেকে বাঁচাতে? লোভী রাজার সঙ্গে গ্রামের এক গরিব-দুঃখী ছেলের এ এক বিরাট যুদ্ধের কাহিনি।