বইটির বিবরণ
একটি গ্রাম। গ্রামের পাশে সড়ক। সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন হরমুজ খান। হাতে তাঁর তালের আঁটি। ওই সময় সেখানে এলেন আজাদ মিয়া। তিনি জানতে চাইলেন, 'হাতে কী তোমার?' হরমুজ খান বললেন, 'তালের আঁটি। বুনব। দশটা আঁটি। দশটা তালগাছ হবে।' হরমুজ খান সড়কের পাশে মাটি খুঁড়তে লাগলেন। আজাদ মিয়া বললেন, 'বুনলে কী হবে? ফল পাবে না। গাছে তাল ধরতে ধরতে তুমি তো মরে যাবে। গাছ বড়ো হতে অনেক বছর লাগে।' বেশ ভাবনায় পড়ে গেলেন হরমুজ খান। বললেন, 'ঠিকই বলেছ তুমি। এই ফেলে দিলাম তালের আঁটি।' হরমুজ খান বাড়ির দিকে ছুটলেন। দূর থেকে তালের আঁটি ফেলে দেওয়া দেখছিল আবেশ। সেই তালের আঁটি দিয়ে কী করল সে?
লেখকের পরিচিতি
দন্ত্যস রওশন পোশাকি নাম সাইদুজ্জামান রওশন। জন্ম ২ সেপ্টেম্বর ১৯৬২, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বকচর গ্রামে। মা আজিমা খাতুন, বাবা আবদুল ওহাব। শৈশব-কৈশোর কেটেছে গ্রামে। কবিতার মধ্য দিয়ে লেখালেখির সূচনা। পরে গল্প-উপন্যাস ও শিশুসাহিত্য রচনায় সক্রিয় হন। শিশু-কিশোরদের জন্য বইয়ের সংখ্যা ৫২। মোট প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৭৬। মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাস নোটুর সেভেনটি ওয়ান-এর জন্য অগ্রণী ব্যাংক-শিশু একাডেমি শিশুসাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন। নোটুর একটি রাইফেল মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাসের জন্য পান অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার। শিশু-কিশোর গল্পগ্রন্থ পরিদের নাচের টিচার-এর জন্য পান ফান কেক আনন্দ আলো পুরস্কার। স্ত্রী ডা. ফারহানা মোবিন, ছেলে অনুভব অভিলাষ জামান। উল্লেখযোগ্য সম্পাদনা ১৯৭১ ঘাতক দালালের বক্তৃতা ও বিবৃতি, গুন্টার গ্রাস সংকলন, একাত্তরের অগ্নিকন্যা। পেশা : সাংবাদিকতা।