বইটির বিবরণ
একসময় রাজারানির গল্প খুব শোনা যেত। তারপর এলো দত্যি-দানো, রাক্ষস-খোক্কসের গল্প। তারপর যত রাজ্যের ভূতপ্রেত সন্ধে হলেই ছোটোদের ভয় দেখাতে ভিড় করে। গল্পের কী আর শেষ আছে! ভূতপ্রেত বেহ্মদত্যির গল্পের ভিড়েই মিশে গেল ডাকাতের গল্প। বনেজঙ্গলে হঠাৎ হঠাৎ শোনা যায়- হারে রেরে। শাদা ঘোড়া, ঋষিকুমার, হীরু ডাকাত, গৌর যাযাবর, আমাজনের জঙ্গলে-র পর এবার শোনো মংলা ডাকাতের গল্প। ডাকাতির গল্প ছাড়াও তোমাদের বয়সি ছেলেমেয়েদের অনেক গল্পও এ বইয়ে আছে। তোমাদের সাধ-আহ্লাদ, সুখ-দুঃখের কথাও আছে। কত আশা, কত স্বপ্ন, কত লড়াই নিয়ে ছোটোদের বড়ো হওয়া, সে গল্প তো থাকবেই। আর যার নামে এই বইয়ের নাম, সেই মংলা ডাকাতের চলাফেরা, সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ডাকাতি করা, সেসব একেবারে ম্যাজিশিয়ানের মতো।
লেখকের পরিচিতি
শাদা ঘোড়া, হীরু ডাকাত, গৌর যাযাবর, পাখির খাতা, তালগাছের ডোঙা, আমাজনের জঙ্গলে, বরফের বাগান, গরিলার চোখ, চোখে দেখা গল্প, জল-বাতাসা, দুরুদুরু, চাঁদের তাঁবু প্রভৃতি ছোটোদের বইয়ের লেখক, শিশুসাহিত্যে ভারতের সাহিত্য অকাদেমি ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিদ্যাসাগর পুরস্কারসহ বিবিধ পুরস্কারে ভূষিত অমরেন্দ্র চক্রবর্তীর কয়েকটি বই ইতোমধ্যেই বহু ভাষায় অনূদিত।
কবিতা-পরিচয়, কর্মক্ষেত্র, ভ্রমণ, কালের কষ্টিপাথর, ছেলেবেলা ইত্যাদি পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক, ওয়ার্ল্ড এডিটর্স ফোরামের প্রাক্তন এক্সিকিউটিভ মেম্বার এই গুণী লেখক বিশ্বের নানা দেশে ঘুরেছেন। বিভিন্ন দেশের ওপর তাঁর হাতক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিয়োচিত্র টেলিভিশন চ্যানেলে সুদীর্ঘকাল সম্প্রচারিত হয়েছে। কবি, কথাসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী অমরেন্দ্র চক্রবর্তী বিষাদগাথা, জিপসি রাত, অশথগাছের চারা, জলে ভাসা জীবন প্রভৃতি উপন্যাসও লিখেছেন। মৃত্যুর অধিক এই মেরে ফেলা, ভূমিকম্পের রাত, ক্ষণের বচন, আজ এই এনেছি গরল ইত্যাদি কাব্যগ্রন্থ এবং বন্ধুভরা বসুন্ধরা, পাহাড়ি গরিলার খোঁজে, পথে পথেই দেশ ও দশ ভ্রমণকথা ইত্যাদি ভ্রমণকাহিনি তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা। এ পর্যন্ত তাঁর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৩৫।