বইটির বিবরণ
উদ্দীপনামূলক গ্রন্থ তবুও তারা জ্বলেছিল কিশোরদের দেবে নির্মল আনন্দ। সঙ্গে দেবে, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে জ্ঞান-আহরণ, একান্ত আগ্রহে অধ্যয়ন করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার অপ্রতিরোধ্য প্রেরণা। অধ্যয়ন কত আনন্দের, কত উল্লাস আর মমতার তা উপন্যাসত্রয় একজন কিশোরের অন্তরে গেঁথে দিতে সক্ষম। তখন দূর হবে নেতিবাচকতা, ইতিবাচকতায় উদ্বুদ্ধ হবে বিবেচনা। সর্বোপরি, কিশোরদের সঙ্গে অভিভাবক বা শিক্ষক এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার মধ্যে স্থানকালপাত্রভেদে কেমন সম্পর্ক হওয়া উচিত তাও অবগত হওয়া যাবে। কিশোরদের কীভাবে সীমাহীন প্রতিকূলতার মাঝেও জয়ী হওয়ার মতো কুশলী করে গড়ে তোলা যায়, তা জানার জন্য প্রত্যেক অভিভাবক ও শিক্ষকের গ্রন্থটি পড়া উচিত। যেসব অভিভাবক বা শিক্ষকের কিশোর সন্তান বা শিক্ষার্থী রয়েছে তারা গ্রন্থটি পড়লে চরম উচ্ছ্বল শিক্ষার্থীকেও কী কৌশলে সহজে কোনো শারীরিক বা মানসিক আঘাত ছাড়া আনন্দ-আগ্রহে অধ্যয়নে আকৃষ্ট করে রাখা যায় তা জানতে পারবেন। গ্রন্থটি হতে পারে কিশোরদের জন্য আনন্দের মাঝে জ্ঞান-আহরণ এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের জন্য কার্যকর শিক্ষাদাতা হিসেবে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জনের কার্যকর হাতিয়ার।
লেখকের পরিচিতি
ড. মোহাম্মদ আমীন জন্ম ১৯৬৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলার চন্দনাইশ গ্রামে। পিতা নুরুল ইসলাম। মাতা সকিনা বেগম। দক্ষিণ গাছবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার আনুষ্ঠানিক অধ্যয়নের সূচনা। এরপর গাছবাড়ীয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও গাছবাড়ীয়া সরকারি কলেজ হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিভাগে বিএসসি (অনার্স) ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবন শুরু করেন সরকারের চাকুরে হিসেবে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাডওয়ার্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ২০০৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি শুদ্ধ বানান চর্চা (শুবাচ)-এর প্রতিষ্ঠাতা। সাহিত্যের সকল মাধ্যমে রয়েছে তার অনায়াস বিচরণ। দুই হাতে দশ হাতের লেখায় সিদ্ধহস্ত। প্রকাশিত গ্রন্থ ১৪০। লেখালেখির স্বীকৃতিস্বরূপ একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। লেখালেখি ছাড়াও তিনি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাংলা ব্যাকরণ ও বানান বিষয়ে শিক্ষাদান করে থাকেন। বর্তমানে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব অটোয়ার ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যুক্ত আছেন।